আফগানিস্তান থেকে ৭ হাজার মানুষ সরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তান থেকে ৭ হাজার মানুষ সরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের রোববার (১৫ আগস্ট) থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ৭ হাজার মানুষ সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত দেশটি থেকে সরিয়ে এনেছে ২ হাজার ১৬৩ জন মানুষ। তাদের মধ্যে ৯৬৩ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বিবিসিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন আফগানিস্তান থেকে ৫ থেকে ৯ হাজার মানুষ নিয়ে আসার ক্ষমতা আমাদের আছে।’

‘তবে কত সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ক চুড়ান্ত নির্দেশনা এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনেক সময় নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতারা।

এ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকসহ কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটগরিভুক্ত আফগান নাগরিককে (দোভাষী, ‍যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সহযোগী যোদ্ধা) নিজ দেশে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তবে তালেবানগোষ্ঠী কাবুলের দখল নেওয়ার পর অস্থিরতা ও হট্টগোলের সুযোগে কিছু সাধারণ আফগান নাগরিকও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে উঠে পড়েছিলেন।

এ ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কাজটি বেশ জটিল, কারণ কাবুল বিমানবন্দরে এখনও হট্টগোল চলছে।’

এদিকে, আগস্টের প্রথম দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে আনা হবে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সরিয়ে আনা হয়েছে ২ হাজারের কিছু বেশি মানুষকে।

বর্তমানে কত সংখ্যক যুক্তরাজ্যের নাগরিক এখনও আফগানিস্তানে রয়ে গেছেন- সে বিষয়ক সুনির্দিষ্ট তথ্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আপনি আরও পড়তে পারেন